Site icon শরীয়তপুর জিলাইভ | truth alone triumphs

শরীয়তপুরে ভুয়া সাক্ষী দিতে এসে দুজন কারাগারে

শরীয়তপুরে ভুয়া সাক্ষী দিতে এসে দুজন কারাগারে

শরীয়তপুরে ভুয়া সাক্ষী দিতে এসে দুজন কারাগারে

শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ভুয়া সাক্ষী দিতে এসে কৌশুলির জেরার সময় ধরা পড়েছেন দুজন। আদালত তাদেরকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

 

 

শরীয়তপুরে ভুয়া সাক্ষী দিতে এসে দুজন কারাগারে

বুধবার (১৭ মে) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেহুজ্জামানের এজলাসে সি আর মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ভুয়া সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভুয়া সাক্ষীগণ হলেন, নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক এলাকার হোসেন খানের ছেলে কালাম খান ও একই এলাকার কানু সরদারের মেয়ে আছমা বেগম।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট কোর্টের পেশকার আব্দুর রহিম বলেন, একটি সি. আর মামলার দরখাস্তে অন্যান্য সাক্ষীদের নামের সঙ্গে ডিঙ্গামানিক এলাকার কালু বেপারীর ছেলে পাহাড় বেপারী ও আছমা আক্তার নামে দুজন সাক্ষী ছিলেন।

 

 

কিন্তু পাহাড় বেপারীর সাক্ষ্য দিতে আসেন হোসেন খানের ছেলে কালাম খান। আদালতে নিজের নাম পাহাড় বেপারী হিসেবে শফথ পাঠ করে কৌশুলির জেরার মুখে কালাম খান কখনো নিজের নাম তাহের বেপারী, পিতার নাম কালু বেপারী বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন কালাম নামে।

অন্যদিকে একই মামলায় আছমা বেগমের বাবার নাম কানু সরদার হলেও তিনি রিপন হাওলাদারের মেয়ে আছমা বেগম নামে সাক্ষী দিয়েছেন। কৌশলির জেরার সময় কালাম খান ও আছমা বেগম ভুয়া সাক্ষী হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বাদী হয়ে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ১৯৩, ২০৫ ও ৪১৭ ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের দুইজনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

 

 

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শাহীন সরদার বলেন, মামলার বাদী আমাকে জানায়নি যে কালাম ও আছমা সাক্ষী নন, তারা প্রত্যক্ষদর্শী। তাই মামলার এজহারে উল্লেখিত সাক্ষী হিসেবে তাদের আদালতে উপস্থাপন করেছি। তারপর কী ঘটেছে তা সবাই জানেন।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রাশেদ শিকদার বলেন, আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে বাদী ভুয়া সাক্ষী নিয়ে এসেছিল। পাহাড় বেপারীর স্থলে কালাম খান এসেছিল সাক্ষী দিতে। এছাড়াও অপর সাক্ষী আছমা বেগম মামলার বিবাদী দিলু সরদারের আপন বোন হয়ে আদালতকে বলেছেন তিনি বিবাদী দিলু সরদারকে চিনেন না। আদালত ভুয়া সাক্ষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ভুয়া সাক্ষী ধরা পড়ার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন শরীয়তপুরের আইনজীবী রাশিদুল হাসান মাসুম বলেন, ভুয়া সাক্ষী ধরা পড়ার বিষয়ে আমি জানতে পেরেছি। ভুয়া সাক্ষীদের কারণে বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হোন। আদালত ভুয়া সাক্ষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমি আদালতকে সাধুবাদ জানাই।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version